স্কুলছাত্রীর ধর্ষণ মামলা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতার অস্বীকার
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদি হাসান নাইসের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে এক স্কুলছাত্রী। তবে ছাত্রলীগ নেতা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গত মঙ্গলবার কলারোয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করা হয়। তার পরদিন বুধবার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাইস সাতক্ষীরা জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
স্কুলছাত্রী মামলায় অভিযোগ করে, শেখ মেহেদি হাসান নাইস ২০১৭ সাল থেকে টানা চার বছর তাকে ধর্ষণ করেছেন। তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেন। সবশেষ গত ৩ জুলাই নাইস তাকে ধর্ষণ করেন এবং পরে খারাপ ব্যবহার করেন। এতে তার ধারণা হয়, নাইস তাকে বিয়ে করবেন না। শেষে বিষয়টি নিজের মাকে জানান ওই স্কুলছাত্রী।
স্কুলছাত্রীর পরিবার সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে তারা রাজি হননি। পরে বিষয়টি পারিবারিকভাবে কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তিনি দুই পরিবারের লোকজন নিয়ে বসেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। পরে নাইস অন্যত্র বিয়ে করেন। বাধ্য হয়ে স্কুলছাত্রী মামলা করে।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, ‘দুই পরিবারকে নিয়ে বসে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে তারা কোনো ধরনের সমঝোতায় আসতে না পারায় ছাত্রীটি আইনের আশ্রয় নিয়েছে।’
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গীয়াস বলেন, ‘ওই ছাত্রীর দেওয়া মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামি ধরার চেষ্টা চলছে।’
মামলার পরের দিন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ মেহেদি হাসান নাইস সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। এবার কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে তিনি লড়তে প্রচার শুরু করেছেন বলেও জানান সংবাদ সম্মেলনে।