সৌদি আরবে যাওয়ার টিকেট পেতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনেছেন টিকেটপ্রত্যাশীরা। এ ছাড়া কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির কাছে বিমানের টিকেট চলে গেছে বলে অভিযোগ তাঁদের। রাজধানীর মতিঝিলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কার্যালয়ের সামনে আজ শনিবার টিকেটের জন্য জড়ো হওয়া যাত্রীদের কাছ এসব অভিযোগ জানা যায়।

অন্যদিকে, কারওয়ান বাজারে সৌদি এয়ারলাইনসের কার্যালয়েও দেওয়া হচ্ছে সৌদিগামী যাত্রীদের টিকেট। কিন্তু আগামীকাল রোববার দুপুরে ফ্লাইটের জন্য যাঁদের বিমানবন্দরে থাকতে বলা হয়েছে, তাঁরা এত কম সময়ের মধ্যে করোনা টেস্ট করিয়ে ফল নিয়ে কীভাবে গন্তব্যে ফিরবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।

মতিঝিলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কার্যালয়ের সামনে আজ সকাল থেকেই চরম অব্যবস্থাপনা দেখা যায়। সৌদিপ্রবাসীরা টিকেটের আশার স্রোতের মতো কার্যালয়ে ঢুকছেন। করোনার জন্য সেখানে স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না।

যাত্রীদের অনেকে অভিযোগ করেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের টিকেট কালোবাজারে যাচ্ছে। বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি টিকেট দেড় লাখ বা তারও বেশি দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ সৌদিপ্রবাসীদের।

এ ছাড়া যাঁরা এখনো টিকেটের জন্য টোকেন পাননি, তাঁদের মধ্যে দুশ্চিন্তা কাজ করছে।

সৌদিপ্রবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের টোকেন দিচ্ছে না এবং বলা হচ্ছে, ভিসার মেয়াদ এবং ওয়ার্ক পারমিট যেটা, সেটা নাকি বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দুটোর কোনোটাই হয়নি।’

এদিকে সৌদির জেদ্দা ও রিয়াদের টিকেট পেলেও দাম্মাম, মদিনাসহ অন্যান্য জায়গার টিকেটের বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা পাননি বলে জানিয়েছেন প্রবাসীরা। একই সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সৌদি এয়ারলাইনস ছাড়া অন্য এয়ারলাইনসের টিকেট কবে পাওয়া যাবে, তারও কোনো জাবাব পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ সৌদিপ্রবাসীদের।