সৈকতে ভেসে আসা বর্জ্য অপসারণের কাজ চলছে
কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা বিপুল বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী দল এসব বর্জ্য অপসারণ শুরু করে। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরসহ কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবক বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে অংশ নেন।
গত শনিবার রাতে জোয়ারের পানিতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভেসে আসে প্লাস্টিক, ই-বর্জ্য ও ছেঁড়া জাল। লাবনী পয়েন্ট থেকে হিমছড়ি পয়েন্ট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এসব বর্জ্য ভেসে আসে। এসব বর্জ্যের সঙ্গে জালে পেঁচানো অবস্থায় কয়েকশ কাছিমও ভেসে আসে। উৎসাহী মানুষ এসব বর্জ্যের মধ্যে মূল্যবান বা প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করে। তবে সৈকতে জোয়ারের পানিতে কীভাবে এবং কেন এসব বর্জ্য এসেছে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ার কারণে সমুদ্রে জমে থাকা এসব বর্জ্য ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
এর মধ্যে গত সোমবার থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা আটকেপড়া জীবিত চার শতাধিক কাছিম সাগরে ছেড়ে দেন। এ ছাড়া শতাধিক মৃত কাছিম মাটিতে পুতে ফেলা হয়। এসব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা বর্জ্য অপসারণের কাজও করেন। সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলী ও দরিয়ানগর পয়েন্টে বর্জ্য অপসারণ করেন তাঁরা।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, সমুদ্র সৈকতে বর্জ্য ভেসে আসার কারণ জানতে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। সৈকতে জমে থাকা এসব বর্জ্য পরিষ্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। যেসব স্বেচ্ছাসেবী দল পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে, তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, প্রাথমিকভাবে এসব বর্জ্য কোনো বিদেশি জাহাজ থেকে ফেলা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ ছাড়া কাছিমসহ যেসব সামুদ্রিক প্রাণী পাওয়া গেছে, তা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা জানান, গভীর সমুদ্রে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে হয়তো সমুদ্রে জমে থাকা এসব বর্জ্য ভেসে আসতে পারে। সৈকতে বর্জ্য ভেসে আসার কারণ জানতে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসার এই কমিটির প্রধান।