সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকরা ফিরছে আজ
সাগরে আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকেপড়া পর্যটকরা ফিরে আসছে আজ রোববার। সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত ২১ অক্টোবর থেকে কক্সবাজার ও টেকনাফের সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ট্রলার ও জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকে পড়ে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সেন্টমার্টিন থেকে ফিরছে পর্যটকরা। আজ সকাল ১০টার দিকে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে পাঁচটি যাত্রীবাহী ট্রলারে করে স্থানীয় যাত্রীদের সঙ্গে প্রায় দুই শতাধিক পর্যটক টেকনাফের উদ্দেশে সেন্টমার্টিন ছেড়ে আসে।
সেন্টমার্টিন যাত্রীবাহী ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম বলেন, ‘পর্যটকদের নিয়ে পাঁচটি ট্রলার দুপুরেই টেকনাফে পৌঁছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে ট্রলার চলাচল শুরু করার জন্য টেকনাফের উপজেলা প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে। এজন্য আজ থেকে সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে। অপরদিকে, কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি কর্ণফুলী আজ সকাল থেকে সেন্টমার্টিনে চলাচল শুরু করেছে। পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলি এক্সপ্রেস আজ রোববার সকাল ৭টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে কক্সবাজার ছাড়ে। দ্বীপে আটকেপড়া পর্যটকদের নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে সেন্টমার্টিন থেকে রওনা দিয়ে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কক্সবাজার ঘাটে পৌঁছার কথা রয়েছে।’
পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলি এক্সপ্রেসের কক্সবাজার অফিসের ইনচার্জ হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকেপড়া পর্যটকদের মধ্যে কর্ণফুলী জাহাজের যাত্রী ছিল ৩৫০ জন। তারা সবাই আজ জাহাজে করে ফিরে আসবে। আটকেপড়া অন্য যাত্রীরা চাইলে জাহাজে করে চলে আসতে পারবে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। তাই সেখানে আটকে পড়ে পাঁচ শতাধিক পর্যটক। আটকেপড়া পর্যটকদের প্রশাসনিক তদারকিতে নিরাপদে রাখা হয়। এখন সংকেত উঠে গেছে। জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় আজ দুপুরে দুই শতাধিক পর্যটক টেকনাফে ফিরে এসেছে। বাকিরাও পর্যায়ক্রমে জাহাজে করে ফিরে আসছে।’
আবহাওয়া অফিসের হুঁশিয়ারি সংকেত দেওয়ার পর গত বুধবার থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে সব ধরনের ট্রলার ও জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এ কারণে বুধবার বা তার আগের দিন সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যাওয়া প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকে পড়ে। হুঁশিয়ারি সংকেত জারির পর সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থান করা পর্যটকদের কক্সবাজার ফিরে যেতে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু বেশির ভাগ পর্যটক স্বেচ্ছায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে রয়ে যায়।’