সেই রুপার বাড়িতে ঈদসামগ্রী নিয়ে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল
চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও হত্যার শিকার সেই মেধাবী কলেজছাত্রী রুপার বাড়িতে ঈদসামগ্রী নিয়ে হাজির হলেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ। গতকাল বুধবার বিকেলে শাড়ি, ঈদের বাজার ও কিছু নগদ অর্থ রুপার মায়ের হাতে তুলে দেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে মো. বাবুল শেখ বলেন, ‘করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে নিজের সাধ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। করোনার শুরু থেকেই তাড়াশ সদর ইউপির ভিজিএফ, ভিজিডি কার্ডের সুবিধাভোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে আসছি। যাঁরা নগদ টাকা পান, তাঁদের কাছেও গিয়ে বিতরণ করছি।’
তাড়াশ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আজ হয়তো অনেকেই সেই রুপার কথা ভুলে গেছে। মানবিক কারণে আমার সাধ্যমতো রুপার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি মাত্র।’
এদিকে, রুপার গ্রামের বাড়ি বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদে হলেও তাড়াশ সদর ইউপির চেয়ারম্যান তাঁর পরিবারের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে মায়ের আকুতি, তাঁর জীবদ্দশায় যেন তিনি মেয়ের খুনিদের বিচার দেখতে চান।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শেষে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে রুপাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে পরিবহন শ্রমিকরা। পরে তাঁকে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে ফেলে রাখা হয়। ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর এই মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য একই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। সেই থেকে মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন।