সুবিধা নিয়েও সুদহার কমাননি ব্যাংকাররা : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে (এক অঙ্কে) নামিয়ে আনার জন্য ব্যাংকাররা অনেক সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু সুদহার কমানো হয়নি।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় সিরামিক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিমসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে একজন ব্যবসায়ীকে ১২ থেকে ১৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে হয়। এতে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। একটার পর একটা ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। এসব কারণেই প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক ঋণে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেলেও ব্যাংকাররা সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার নির্দেশনা পালন করেননি।
‘সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে না আনলে কোনো ব্যবসাই করা যাবে না। অন্য কিছু করা গেলেও প্রকৃত ব্যবসা করা সম্ভব হবে না।’
টিপু মুনশি আরো বলেন, বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যে পদ্ধতিতে রাজস্ব সংগ্রহ করে তা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে অনেক জনগণ আছে আয়কর দেওয়ার যোগ্য। কিন্তু ঝামেলার কারণে তাঁরা আয়কর দেন না। এ পরিধি বাড়ানো দরকার। যারা এখন আয়কর দেন, তাদের ওপরই চাপ বাড়ছে। ট্যাক্স প্রদানকারীর সংখ্যা বাড়ছে না, যারা দিচ্ছেন তাদের ওপরেই চাপ বাড়ছে।
সিরামিক পণ্য রপ্তানিতে সরকারের সহায়তার কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সিরামিক পণ্য বিশ্ববাজারে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। উন্নত দেশগুলোতে বাংলাদেশের তৈরি সিরামিকের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। সিরামিকের গুণগতমান ও নির্মাণশৈলী ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করছে। বাংলাদেশ সরকার তৈরি পোশাকের পাশাপাশি যেসব পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম সিরামিক পণ্য।
‘সিরামিক পণ্য তৈরির জন্য কাঁচামাল ছাড়া অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব ফ্যাক্টরি, গ্যাস-বিদ্যুৎ এবং সহজলভ্য দক্ষ শ্রমিক আমাদের আছে। সিরামিক শিল্পকে আরো লাভজনক ও রপ্তানিমুখী করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। যেসব ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে, তা চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে।
টিপু মুনশি আরো বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক নানা প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে আজ বর্তমান অবস্থানে এসেছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। বাংলাদেশে সিরামিক শিল্পের প্রসার ঘটছে দ্রুত। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।