সুন্দরবনে নৌকায় মিলল হরিণের পা, দুজন আটক
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে একটি নৌকা থেকে হরিণের পা, ফাঁদ, ছুরি উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. এনামুল হক জানান, গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোংলার বৈদ্যমারী ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন ইসহাকের চিলা এলাকা থেকে দুজনকে আটক করা হয়।
এরা হলেন- উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্লা (৪০) ও আবজাল শিকারির ছেলে ফজলু শিকারি (৫০)।
আটকদের বিরুদ্ধে বন ও বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বন কর্মকর্তা এনামুল হক।
বনবিভাগ জানায়, গোপন সংবাদে চোরা শিকারিদের অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালানো হয়। বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে জবাই করা হরিণের মাংস নদীতে ফেলে দিয়ে শিকারিরা পালানোর চেষ্টার করে। ধাওয়া করে দুজনকে ধরা হয়। এ সময় একটি নৌকা থেকে হরিণের চারটি পা, আধা বস্তা হরিণ শিকারের ফাঁদ, দুটি ছুরি, রক্ত মাখা পলিথিন জব্দ করা হয়।
সুন্দরবনে চোরাশিকারিদের দৌরাত্ম বাড়ছে। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ এক ব্যক্তিকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ২২ জানুয়ারি শরণখোলা থেকে ১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুজনকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ২৫ জানুয়ারি খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালী খেয়াঘাট এলাকা থেকে ১১ কেজি হরিণের মাংসসহ দুজনকে আটক করে পুলিশ। ৩১ জানুয়ারি মোংলার দিগরাজ এলাকা থেকে ৪৭ কেজি হরিণের মাংসসহ তিনজনকে কোস্ট গার্ড এবং ২ ফেব্রুয়ারি রামপাল থেকে ৪৫ কেজি হরিণে মাংসসহ পাচারকারীকে আটক করে ডিবি পুলিশ।