সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত, সড়ক অবরোধ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে দুই শিশুসহ আরো তিনজন। গতকাল বুধবার রাত ৮টা ও রাত ১১টার দিকে এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মিরসরাই উপজেলার ডুমখালি গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন (৩৫) ও সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রফিক হোসেনের ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৩)। নিহত অপরজন একজন নারী (৩০)। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আহত তিনজনের একজনের নাম মো. নাহিদ (১২)। অপর দুজনের একজন অজ্ঞাতনামা শিশু (৫) ও অজ্ঞাতনামা এক যুবক (২৮)।
পুলিশ জানায়, রাত ৮টার দিকে সীতাকুণ্ডের কুমিরার গুল আহমেদ জুট মিলস এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকামুখী একটি প্রাইভেটকার পৌঁছালে শিশু নাহিদ গাড়িটির সামনে দিয়ে দৌড় দেয়। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে গাড়িটি সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে লেন পরিবর্তন করে চট্টগ্রামমুখী লেনে গিয়ে পড়ে। ওই সময় একটি ট্রাক এসে ওই প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারে থাকা মেজবাহ ও আবদুল্লাহ নিহত হন। আহত হন আরো দুজন।
অন্যদিকে রাত ১১টার দিকে উপজেলার সলিমপুরে ফকিরহাট এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামমুখী একটি লরির চাপায় এক নারী নিহত হন। এতে তাঁর সঙ্গে থাকা সাত বছর বয়সের এক শিশু গুরুতর আহত হয়।
আহত শিশুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করলেও নিহত নারীর পরিচয় পাওয়া পায়নি।
এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে সড়কের ওপর ‘ওভারব্রিজ’ নির্মাণের দাবি জানায়। খবর পেয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা ও ফৌজদারহাট ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সীতাকুণ্ড জোনের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক রফিক আহম্মদ মজুমদার জানান, দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ফকিরহাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ অবরোধ তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।