সিরাজগঞ্জে যে কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের ক্ষতিগ্রস্ত নলকা সেতু ও মহাসড়ক জুড়ে অসংখ্য খানাখন্দের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। প্রতিদিনই এই মহাসড়কে যানজটে ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যানজট নিরসনে কাজ করা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক ও হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। জাতীয় এই মহাসড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে মহাসড়কের ক্ষতিগ্রস্ত নলকা সেতু ও চান্দাইকোনায় প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটারের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক ও হাটিকুমরুল থেকে চান্দাইকোনা ২১ কিলোমিটার হাটিকুমরুল-বগুড়া জাতীয় মহাসড়ক হয়ে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার যাত্রী ও পণ্যবাহী প্রায় ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করে প্রতিদিন। জাতীয় এই মহাসড়ক দুটির বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দের। মাঝে মধ্যে নলকা সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টের পিচঢালাই উঠে যাওয়াসহ খানাখন্দে ভরে যায়। ৪৩ কিলোমিটারের এই মহাসড়কের নলকা সেতু ও চান্দাইকোনা বাজার এলাকা যান চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে বলে দাবি মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের। ক্ষতিগ্রস্ত এই মহাসড়কের খানাখন্দে পড়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভেঙে যাওয়ায় বিকল হচ্ছে যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনাও।
একদিকে, খানাখন্দে ভরে যাওয়া মহাসড়ক অন্যদিকে মহাসড়ক দুটিতে ফোর লেন, একাধিক ফ্লাইওভার ও ডিভাইডার নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না যানবাহন। ফলে মহাসড়কের নলকা সেতু ও চান্দাইকোনায় প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। চার থেকে পাঁচ কিলোমিটারব্যাপী সৃষ্ট একেকটি যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে যানবাহনগুলো।
সিরাজগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাকী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত নলকা সেতু ও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক বিভাগ ইতোমধ্যে নলকা সেতুতে সংস্কার কাজ শুরু করেছে। এছাড়া মহাসড়কে উন্নয়ন কাজও কাজ চলছে। যে কারণে কিছুটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে।