সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে আমন ধান
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে রোপা আমন ধান। জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও তাড়াশ উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষক।
সিরাজগঞ্জ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারণে রোপা আমনসহ উঠতি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বাড়তে থাকায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন কৃষকরা। চরাঞ্চলের প্রায় ৮০ ভাগ রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।
যমুনার পানি দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার আউশ ও রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা হিসেবে বন্যাকবলিত সাতটি উপজেলার এক হাজার ২৪৫ কৃষকের মধ্যে বীজ দেওয়া হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবু হানিফ বলেন, ‘জেলার বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোতে পাঁচ হাজার কৃষকের মধ্যে এক বিঘা করে মাষকলাই, এক হাজার ২৪৫ কৃষকের মধ্যে রোপা আমন চারা ও ৮২টি ইউনিয়নের ৩২ জন কৃষকের মধ্যে সবজির চারা বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ আবারও যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকের বীজতলা তলিয়ে গেছে। তবে আমরা প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ মোকাবিলায় তৈরি রয়েছি।’
এদিকে, যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ভাঙনে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হুমকির মুখে রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ বহু স্থাপনা। অনেকে বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করা না হলে চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরের অস্তিত্ব নদীতে বিলীন হবে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।