সালিশে পিটুনিতে একজনের মৃত্যু, ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৩
প্রতিবেশী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে এক সালিশ বৈঠকে মারপিটের কয়েকদিন পর গোলাম কুদ্দুস (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, অভিযোগকারী প্রতিবেশী মনি ও তাঁর ভাবি রাজিয়া খাতুনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
মৃত গোলাম কুদ্দুস সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের বাসিন্দা।
কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজ কিশোর পাল বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি টেলিফোন পাই। ফোনে চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামে একটি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানায়। এ খবরে আমি দ্রুত হিজলদিতে গ্রামে যাই।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসআই রাজ কিশোর আরো বলেন, ‘গোলাম কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি নারী বিষয়ক অভিযোগ করেন তাঁর প্রতিবেশী মনি ও তাঁর ভাবি রাজিয়া খাতুন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের নির্দেশে গোলাম কুদ্দুসকে নোটিশ করে ডেকে আনা হয়। গত শুক্রবার গ্রাম আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সালিশ বৈঠক বসে। ওই সালিশে গোলাম কুদ্দুসকে দোষী সাব্যস্ত করে লাঠি দিয়ে মারপিট করেন চেয়ারম্যান ও তাঁর সহযোগীরা। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন গোলাম কুদ্দুস।’
এসআই রাজ কিশোর আরো বলেন, ‘গোলাম কুদ্দুস বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। আজ সকালে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে মারা যান তিনি।’
গোলাম কুদ্দুসের মরদেহে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে উল্লেখ করে এসআই রাজ কিশোর বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য গোলাম কুদ্দুসের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক করা হয়েছে চেয়ারম্যান ও দুই অভিযোগকারীকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গীয়াস জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে প্রক্রিয়া চলছে।