সামরিক আমলে নিহতদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করেছেন। কোর্ট মার্শালের নামে সেনাবাহিনীর শত শত সদস্যকে কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ও ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো খুঁজে বের করার দায়িত্ব সাংবাদিকদের। ওই সময়ে নিহতদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত ও বিচার প্রসঙ্গে প্রবীণ সাংবাদিক আবেদ খানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন গুম-খুনের কথা শুনে অনেকেই কথা বলেন। আমাদের বিরুদ্ধে একটি অপপ্রচার রয়েছে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর এত হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে! জিয়াউর রহমানের আমলে কারাগারগুলোতে যে কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, সে হিসাবগুলোও কোনো সাংবাদিক তুলে ধরেননি। আমি নিজেও বিচার পাইনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আমার মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজনদের হত্যার বিচার দাবি করতে পর্যন্ত পারিনি। মা-বাবার হত্যার বিচার চাওয়ারও অধিকার আমার ছিল না। বিচারের জন্য ক্ষমতায় আসা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে তাঁর সদ্য সমাপ্ত সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফরকালে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়বস্তু এবং এ সফরের অর্জিত সাফল্য তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো, লন্ডন ও প্যারিসে দুই সপ্তাহের সরকারি সফর শেষে গত রোববার দেশে ফেরেন। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর দুই সপ্তাহের সফরে স্কটল্যান্ডের বন্দরনগরী গ্লাসগো পৌঁছান তিনি।
গ্লাসগোতে প্রধানমন্ত্রী কপ-২৬ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এরপর ৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা লন্ডনের উদ্দেশে গ্লাসগো ত্যাগ করেন।
৯ নভেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা প্যারিসের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ইউনেস্কো সদর দপ্তরে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর দ্য ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান’, ইউনেস্কোর ৪১তম সাধারণ সম্মেলন,প্যারিস শান্তি ফোরাম এবং ইউনেস্কোর ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী গত রোববার দেশে ফেরেন।