সাভারে চতুর্থ দিনের অনশনে সেই তরুণী
স্ত্রীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাভারে টানা অনশনের চতুর্থ দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন যশোরের তরুণী শান্তা ইসলাম।
এদিকে অবহেলিত এই তরুণীর অভিনব প্রতিবাদের মুখে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম সাগর ও তাঁর পরিবার।
গত চারদিনেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন ওই তরুণী।
ওই তরুণী জানান, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক বছর আগে সাভারের গেণ্ডা এলাকার জহিরুল ইসলাম সাগরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সাগর পেশায় দূরপাল্লার একটি পরিবহনের সুপারভাইজার।
শান্তার অভিযোগ, সাগরের কথায় ভালোবাসার টানে তিনি যশোর থেকে ঢাকায় ছুটে আসেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নায়ারণগঞ্জের একটি বাড়িতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে বাবার বাড়ি থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সাগরদের বাড়িতে উঠেন তিনি। এর কিছু দিন পরে তাঁকে মারধর করে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন সাগরের বাবা নজরুল ইসলাম ও মা খুরশীদা বেগম।
এভাবে পথে পথে ঘুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মিরপুরের বাসিন্দা খাদিজা আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। কিছুদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে সাভারে ফিরে আসেন শান্তা। নিজের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে গত ২১ নভেম্বর থেকে সাগরের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করলে বাড়ির বাসিন্দাদের সবাই তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
শান্তা আরো জানান, তাঁর এমন পরিস্থিতি দেখতে অসংখ্য মানুষ ভিড় করলেও তিনি কারো কাছ থেকে কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। বরং সন্ধ্যা নেমে এলে অন্ধকারে তিনি নিরাপত্তাহীন বোধ করছেন।
এছাড়া ঠাণ্ডায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ওই নারীর কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ এনেছে। সাগর ও তাঁর বাবা-মাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’