সাভারে করোনা আক্রান্ত আটজনের মধ্যে সাতজনই পোশাক কর্মী
ঢাকার সাভার উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় আরো আট ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে সাতজনই পোশাক কারখানার কর্মী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা এরই মধ্যে পোশাক কারখানাসহ সব কলকারখানা বন্ধ রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে আবেদন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ আবেদনের অনুলিপি পাঠিয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার জন্য সাভারে বাংলাদেশ পশু সম্পদ গবেষণা কেন্দ্র- বিএলআরআইয়ের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার ল্যাবে পরীক্ষায় আট ব্যক্তির দেহে নমুনা পজিটিভ হয়। এ আটজনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ পোশাককর্মী ও দুজন মহিলা পোশাককর্মী। তাদের রাজধানীর মিরপুরে লালকুঠি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ পোশাককর্মীদের পাঁচজন পৌর এলাকার উলাইল শিল্পাঞ্চলের ও দুজন আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের কারখানার কর্মী। আক্রান্ত পোশাককর্মীদের বাসা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা আক্রান্ত পোশাক কারখানার শ্রমিকরা যেখানে কাজ করতেন বা তাদের সঙ্গে যারা ঘনিষ্টভাবে মিশতেন ওই সব ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পোশাক কারখানার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে কাল রোববার তাদের সব কর্মীর নমুনা পরীক্ষা করাতে সম্মত হয়েছে।
সাভারে গত কয়েক দিন ধরে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা কর্মকর্তা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পোশাক কারখানা বন্ধ করতে আবেদন করেন। তাঁরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। কিন্তু এ পর্যন্ত আবেদনের সাড়া মেলেনি।
এ ছাড়া এক পোশাককর্মী সেলিম হোসেন পরিচয়ে নমুনা পরীক্ষা দেওয়ার পর পজিটিভ হলে গত পাঁচ দিনেও তাঁর হদিস পাওয়া যায়নি। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রযুক্তির ব্যবহারে দেখা গেছে তিনি ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করছেন। তাঁর সন্ধান পেতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।