সাবেক স্ত্রী ও সন্তানকে এসিডে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ
ময়মনসিংহ শহরের সারদা ঘোষ রোডে সাবেক স্ত্রী ও সন্তানকে এসিডে ঝলসে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন রূপালী আকতার রূপ (২২) ও তাঁর ছেলে রুহান (৪)। এ সময় এসিড নিক্ষেপকারী হাফিজুর রহমান নিজেও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে আহত অবস্থায় তিনজনকেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এদিকে, আহত হাফিজুর রহমানকে আটক দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও আহত রূপালীর বাবা জানান, যৌতুক দাবি করায় এক বছর আগে হাফিজুর রহমানের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় রূপালীর। পরে দেনমোহর দাবিতে আদালতে মামলা করা হয়। আদালতে দায়ের করা দেনমোহর মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ে রূপালীর দেনমোহর বাবদ তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
গতকাল বিকেলে রূপালী নিজের চিকিৎসা ও ছেলের জন্য গরম কাপড় কিনতে শহরে যান। এ সময় হাফিজুর টাকা পরিশোধের কথা বলে সারদা ঘোষ রোডে রূপালীকে ডেকে আনেন। পরে রূপালী ও সন্তানকে এসিডে ঝলসে দেন তিনি। এ সময় এলাকাবাসী হাফিজুর রহমানকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এদিকে এলাকাবাসীর সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় হাফিজুর নিজেও এসিডদগ্ধ হন। পরে এসিডদগ্ধ তিনজনকেই মমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির এসিডদগ্ধদের দেখতে হাসপাতালে যান এবং হাফিজুরকে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইন্টেলিজেন্স ও কমিউনিটি পুলিশ উজ্জ্বল কুমার জানান, অভিযোগ পেলে আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।