সাবেক ভূমিমন্ত্রীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর গভীর শোক
পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ শোকবার্তা পাঠানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী মরহুম শামসুর রহমান শরীফের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি শরীফের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শামসুর রহমান শরীফ আজ ভোর ৫টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, পাঁচ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শামসুর রহমান শরীফ পরপর পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
পারিবারিকভাবে জানা যায়, শামসুর রহমান শরীফ ১৯৪০ সালের ১০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। বিপ্লবী এই নেতা এ বছরই ৮০ বছর পূর্ণ করে ৮১-তে পা রেখেছিলেন। সাত মাস ধরে তিনি বার্ধক্য ও দুরারোগ্য রোগে ভুগছিলেন। প্রথমে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের পর তিনি লন্ডনে যান উন্নত চিকিৎসার জন্য। লন্ডন থেকে ফিরে কিছুদিন ভালো থাকার পর অসুস্থ হলে আবারও ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকে তাঁকে ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস চিকিৎসা গ্রহণের পর ঢাকায় ফিরে আসেন। পরে আবারও তাঁকে ল্যাবএইডে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ ভোরে ইউনাইটেড হাসপাতালেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।