সাত দিনেও উদ্ধার হয়নি বেলকুচিতে অপহৃত কিশোরী
সাত দিনেও উদ্ধার হয়নি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অপহৃত কিশোরী। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বেলকুচি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
কিশোরীর বাবা জানান, প্রতিবেশী খোদা বক্সের ছেলে জুয়েল রানা (৩৫) তাঁর মেয়েকে প্রায় দিনই উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই কিশোরী বাড়ি বাইরে বসে ছিল। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা জুয়েল রানা এসে তার মুখ চেপে ধরে। এ সময় কিশোরী চিৎকার দিলে তার মা এবং বাড়ির আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। জুয়েল রানা জোর করে তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দ্রুত পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জুয়েল রানার পরিবারকে জানালেও তারা ওই কিশোরীকে উদ্ধারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেরে এ অপহরণের ঘটনায় বেলকুচি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেই। অভিযোগ দাখিলের পর থেকে জুয়েল রানার পরিবার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।’
কিশোরীর মা বলেন, ‘আমার চোখের সামনে থেকে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে জুয়েল। আমার মেয়ে এখন জীবিত আছে, না মৃত—তাও জানি না।’
এ বিষয়ে জুয়েল রানার বাড়িতে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘরে তালা ঝোলানো রয়েছে। কিছুক্ষণ পর জুয়েল রানার সৎ মা খালেদা বেগম এসে বলেন, ‘জুয়েল আমাদের কথা শোনে না। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘অপহৃত কিশোরীর বাবা গত সোমবার ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছেন। আমার মেয়ের অসুস্থতার জন্য আমি হাসপাতালে ব্যস্ত ছিলাম। এ জন্য জুয়েলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি।’
স্থানীয় রেহেনা বেগম বলেন, ওই কিশোরীর চিৎকারে আমি ও বাড়ির আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি জুয়েল একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা দৌড়ে গিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু জুয়েল দ্রুত চলে যায়।
বেলকুচি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক বলেন, কিশোরীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে তার বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিশোরীকে হাজির করতে তার পরিবারকে বলে এসেছি। আজ বুধবারের মধ্যে তাকে হাজির করতে না পারলে ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।