সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য ও আর্থিক সুরক্ষা নিয়ে ডিইউজের উদ্বেগ
দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ও দৈনিক জনতাসহ বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার ছাপা বন্ধ করে দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
গতকাল শনিবার বিকেলে ডিইউজের নির্বাহী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় কমিটির সদস্যরা এর পাশাপাশি সরকারি ছুটি চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোথাও কোথাও পুলিশের দুর্ব্যবহার এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কোনো ধরনের উদ্যোগ না নেওয়ায়ও উদ্বেগ জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ। তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের মধ্যে অনেক গণমাধ্যম সাংবাদিক ছাঁটাই করছে। এটা শ্রম আইন ও মানবিক চেতনার পরিপন্থী।’ এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
প্রারম্ভিক প্রস্তাবনায় ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, করোনাভাইরাসের মতো কঠিন দুর্যোগের মধ্যেও অনেক গণমাধ্যম সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ন্যূনতম উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এরমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই ফটোসাংবাদিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’ তিনি এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়াজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।
সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেতন-ভাতা বকেয়া থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডিউজের নেতারা। অবিলম্বে বকেয়া বেতন পরিশোধের আহ্বান জানানো হয়। সাংবাদিকদের নিরাপদে কমর্স্থলে আনা-নেওয়ার জন্য পরিবহন সুবিধা নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয় ডিইউজের এই সভায়।
এদিকে, আজ রোববার এক বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে গণমাধ্যম কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তায় সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা না থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নেতারা বলেন, যে গণমাধ্যমের কল্যাণে দেশবাসীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত সরকার ও প্রশাসনের কর্তারা যোগাযোগ করে চলেছেন, এই কঠিন জীবন-মরণের দুর্যোগকালেও তাদের বিষয়ে আলাদা আথির্ক সুরক্ষার কোনো তথ্য না থাকায় সাংবাদিক সমাজ ব্যথিত হয়েছে।