সাংবাদিককে হুমকি, ‘তোর পেছনে একটি কার্তুজ খরচ করব’
‘সাবধানে থাকিস, তোর পেছনে একটি কার্তুজ খরচ করব।’ দৈনিক আমার সংবাদের বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমানকে এভাবেই মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত হুমকিদাতার নাম অহিদুজ্জামান হাওলাদার। তিনি রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার।
অভিযোগ ওঠে, মাদ্রাসা সুপার অহিদুজ্জামান গত শুক্রবার রাত ১১টা ৩৬ মিনিটে মোবাইল ফোনে হাফিজুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান গতকাল শনিবার বিকেলে অহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এ ব্যাপারে মোংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ মুখার্জি বলেন, ‘বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। আমরা এ ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাগেরহাট আদালতে পাঠাব।’
জিডির বিবরণে উল্লেখ করা হয়, দৈনিক আমার সংবাদের মোংলা প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমান তাঁর পৈত্রিক ব্যবসা থেকে রামপালের ওই মাদ্রাসা সুপার মো. অহিদুজ্জামান হাওলাদারকে ২০ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। সে সময় ওই টাকার বিপরীতে অহিদুজ্জামান তাঁর ব্যাংকের একটি চেক দেন। দীর্ঘদিন পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে টাকা না থাকায় চেকটি প্রত্যাখ্যাত (ডিজঅনার) হয়। এ বিষয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে অহিদুজ্জামানকে আইনি নোটিশ পাঠান হাফিজুর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার রাতে সাংবাদিক হাফিজুরকে মোবাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন অহিদুজ্জামান। এবং ‘তোর পেছনে একটি কার্তুজ (গুলি) খরচ করব’ বলে হত্যার হুমকি দেন।
এ ঘটনায় সাংবাদিক হাফিজুর বলেন, ‘দীর্ঘদিনেও পাওনা টাকা না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি, এটা তো আমার অপরাধ না। কিন্তু এ জন্য একজন মাদ্রাসার সুপার কীভাবে আমাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন? প্রশাসনের কাছে আমার জোর দাবি, হুমকিদাতার অস্ত্রের সন্ধান ও আমাকে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি তদন্ত করে তাঁকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। এ ঘটনার পর থেকে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কে ভুগছি।’
হুমকির বিষয়ে জানতে ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. অহিদুজ্জামান হাওলাদারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।