সরকারের নির্ধারিত দামেই ব্যবসায়ীদের আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘আমরা আলুর দাম কমিয়ে একটা যৌক্তিক দাম ঠিক করে দিয়েছি। কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা ১৬-১৭ টাকা কেজিতে আলু কিনেছেন, এখন ২৭ টাকা কেজিতে বেচবেন। এই দামটি আমরা অযৌক্তিকভাবে ঠিক করি নাই, এটি অবশ্যই যৌক্তিক। এই যৌক্তিক দামের মধ্যেই তাঁদের আলু বিক্রি করা উচিত। আমরা বাধ্য হয়ে এই যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করেছি, এটিকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করব।’

মন্ত্রী আজ শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি প্রদান এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে দুস্থ জনগণের জন্য প্রাপ্ত আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

এখন পর্যন্ত দেশে খাদ্যের কোনো সংকট হয়নি উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সামনের দিনগুলোতেও কোনোক্রমেই যাতে মানুষের খাদ্য সংকট না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। যদি দেখা যায়, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আমনের অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং উৎপাদন কম। সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে অল্প পরিমাণ চাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে। তার পরও, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষকে না খেয়ে থাকতে দেবেন না।

মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খানের সভাপতিত্বে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, মধুপুর পৌরসভার মেয়র মো. মাসুদ পারভেজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

পরে কৃষিমন্ত্রী উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ২৫৮ জন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে উপবৃত্তি প্রদান করেন এবং কিছু হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অর্থ সহায়তার চেক বিতরণ করেন।