সরকার চাইছে যে বাঁচবে বাঁচবে, যে মরবে মরবে : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজ দেশে সাংবাদিক, পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এভাবে দেশে লাশের সারি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ সরকার করোনা রোগীদের বাঁচাতে উন্নত হাসপাতালের ব্যবস্থা করেনি। ক্ষুধার্ত মানুষ দিন আনে দিন খায়। সরকার চায় না, গরিব মানুষ বেঁচে থাকুক। সরকার একবার বলে লকডাউন শিথিল, আরেকবার বলছে লকডাউন চলবে—এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সরকার চাইছে ছেড়ে দিলাম, যে বাঁচবে বাঁচবে, যে মরবে মরবে।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার নিমতলা সুখের ঠিকানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুর উদ্যোগে ৩০০ জনের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, লকডাউন-শাটডাউন মেনে চলতে হবে, সাবধানতা অবলম্বন করেই কাজ করতে হবে—এটা হচ্ছে করোনার মূল প্রতিষেধক। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, সরকার এ ব্যাপারে কোনো কিছুই করেনি। তারা ত্রাণ বিতরণে নিজেদের লোক নিয়োগ দিয়েছে। আর নেতাকর্মীরা লুটে খাচ্ছে ত্রাণ। তাদের বাড়িতে ত্রাণের চাল থেকে তেল সবকিছু পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও ক্ষুধার্ত গরিব ও অসহায় মানুষের পক্ষে থাকব। তারপরও সরকার নিপীড়ন-নির্যাতন করছে। ভয়ংকর মহামারির মধ্যেও ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে।’
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সিরাজদীখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস ধীরন, কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল প্রমুখ।
পরে জেলার শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের সাতঘরিয়া এলাকায় হতদরিদ্রদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন রুহুল কবির রিজভী।