সরকার করোনা নিয়ে বাণিজ্য করেছে : সেলিমা
করোনাভাইরাস নিয়ে বাণিজ্যের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির নেতাকর্মীরা করোনায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে সেলিমা রহমান বলেন, ‘করোনার সময়ে ক্ষমতাসীন দল সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে ব্যস্ত রয়েছে দুর্নীতিতে। সরকার করোনার সময়ে জনগণকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করে না। বরং করোনাকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়ে ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। করোনা উপলক্ষে সরকারঘোষিত প্রণোদনা সরকারি দলের লোকজনই পাচ্ছে।’
বিএনপির নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য আরো বলেন, ‘আজকে সময় এসেছে জনগণকে বাঁচাবার, তাই জনগণকে বাঁচাতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা তখনই সফল হবো যখন আমরা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারব, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সত্যিকার অর্থে মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারব।‘
সরকার প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম হলো নির্বাচনী ব্যবস্থা; সেটিকে বর্তমান অবৈধ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের এখন আর নিজের পছন্দমতো ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। আজকে এভাবে দেশ আর চলতে পারে না।’
সেলিমা রহমান আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তাঁকে আজকে বর্তমান অবৈধ সরকার জোর করে কারাগারে অন্তরীণ করে রেখে গৃহবন্দি করে রেখেছে। তাঁকে রাজনীতি করতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। কারণ খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তাদের যে লুটের রাজনীতি এটি করা সম্ভব হবে না। তাই তারা খালেদা জিয়াকে জোর করে গৃহবন্দি করে রেখেছে।’
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও আহ্বায়ক ডা. পারভেজ রেজা কাকনের সভাপতিত্বে ও কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপিনেতা ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন আহমেদ অসীম, শিরিন সুলতানা, ড্যাবের জহিরুল ইসলাম শাকিল, অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, ডা. মাসুদ আখতার জীতু, ডা. মেহবুব উল কাদির, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ডা. মো. ফখরুজ্জামান, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, শামীমা রাহিম, মো. আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মো. সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, বিপ্লব উজ-জামান বিপ্লব, দবির উদ্দিন তুষার, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাবি ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মো. আমানউল্লাহ আমান, বুয়েট ছাত্রদলের আসিফ হোসেন রচি, ইডেন কলেজ ছাত্রদলের রেহানা আক্তার শিরিন প্রমুখ।
এ সময় মেডিসিন, হৃদরোগ, বক্ষব্যাধি, শিশুরোগ, শিশু সার্জারি, গ্যাস্ট্রো এন্ট্রালোজি, পেইন ম্যানেজমেন্ট, অর্থপোডিক্স, চর্ম ও যৌন, গাইনেকোলোজি, নাক-কান-গলা, চক্ষু বিজ্ঞান, দন্ত রোগের বিভিন্ন সমস্যায় শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র রোগীকে ফ্রি চেকআপ ও ওষুধ প্রদান করা হয়।