সরকার অলিম্পিক গেমসের যোগ্য করে ক্রীড়াবিদদের গড়ে তুলতে চায় : প্রধানমন্ত্রী
সরকার দেশের বিভিন্ন খেলায় আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে, যাতে আগামীতে ক্রীড়াবিদরা বিশ্ব অলিম্পিকসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে পারেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দেশের বৃহৎ ক্রীড়া আসর ‘বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে’র উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বর্ণাঢ্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সবাইকে করোনা সতর্কতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে গেমসে অংশ গ্রহণেরও আহ্বান জানান। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ক্রীড়া আসরটির উদ্বোধন করেন।
অংশগ্রহণকারী ও আয়োজকদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদরা প্রতিটি ডিসিপ্লিনে যেন সর্বোচ্চ পারদর্শিতা দেখাতে পারেন এবং আগামীতে বিশ্ব অলিম্পিকসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে পারেন সেজন্য আগামীতে সরকার আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করবে। সেভাবেই দেশের খেলোয়াড়দের তিনি তৈরি করতে চান বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার অ্যাথলেট ৩১টি ক্রীড়ায় এক হাজার ২৭১টি পদকের জন্য প্রায় ১০ দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। দেশের নয়টি শহরের ২৯টি ভেন্যুতে এই খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে যে ৩১টি ডিসিপ্লিনে খেলা অনুষ্ঠিত হবে, তাতে প্রত্যেকে আপনারা স্বাস্থ্যসুরক্ষাটা একটু মেনেই চলবেন। কারণ, আমি চাই না আপনারা কেউ কোনো কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। যে কারণে সবাইকে, বিশেষ করে যারা আয়োজক—তাদের আমি বলব, আপনারা এই বিষয়টা বিশেষভাবে লক্ষ রাখবেন; যাতে সবাই স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই গেমসটি ২০২০ সালে হওয়ার কথা থাকলেও গতবার হঠাৎ করে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে গেলে বাধ্য হয়ে সেটি বন্ধ রেখে আমরা এবার আয়োজন করছি। তাই এবারও নতুনভাবে করোনার সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে নজর রেখে এই খেলাগুলো আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী গেমস সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
গেমসের মশাল জাতির পিতার জন্মভূমি টুঙ্গীপাড়া থেকে প্রজ্বালন করায় তিনি বিওএ (বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন) এবং গেমস সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
বাঙালি স্বাধীন জাতি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই আমাদের এই স্বাধীনতা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে ভাষার জন্য আন্দোলন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বিওএ সভাপতি এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং বিওএ মহাসচিব সৈয়দ সাহেদ রেজা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভার্চুয়ালি ক্রীড়াবিদদের মার্চ পাস্ট এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।