সরকারের পতন অত্যন্ত প্রয়োজন : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে বলে এই সরকারের পতন অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, আমরা সবাই একমত হয়ে আন্দোলনের দাবি জনগণের সামনে উত্থাপন করব। সেই দাবিগুলোকে নিয়েই আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে যাব।
আজ সোমবার রাতে বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা শুরু করেছি, তারই অংশ হিসেবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা বসেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একমত হয়ে আন্দোলনের দাবি জনগণের সামনে উত্থাপন করব। সেই দাবিগুলোকে নিয়েই আমরা আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে যাব।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে বিষয়গুলোতে একমত হয়েছি যে—কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। এই কারণে এই সরকারের পতন অত্যন্ত প্রয়োজন। সেজন্য আমরা প্রথমেই দাবি করছি, এ সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে, পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, সংসদ বিভক্ত করে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা অন্তর্ভুক্তকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে দেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবেন নতুন সংসদ গঠন করবেন সরকার গঠন করবেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে যারা বন্দি আছেন, তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে। প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া আছে। সেই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জ্বালানি তেলসহ সরকারের নানা ও নিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে একমত হয়েছি। আশা করি, আমরা সকলে একসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে এই দাবিগুলো নিয়ে পথ চলব।’
গতকাল ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করে বিএনপি। আজ সোমবার সকালে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) দলটির সঙ্গেও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।