সরকারের ছাড় অপপ্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হবে : কাদের
সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে গণপরিবহণ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে; কিন্তু সেই ছাড়ের অপপ্রয়োগ করলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে গণপরিবহন চলাচলে সবাইকে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই মাস ধরে চলা সরকারের সাধারণ ছুটি না বাড়িয়ে আগামী ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে সরকারি অফিস-আদালত চালুর পাশাপাশি নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখতে হবে করোনা সংক্রমণের বিস্তার যেন না ঘটে এবং সংকটকে যেন আরো ঘনীভূত না করে। জনস্বার্থে দেওয়া সরকারের এই ছাড় ফ্রি-স্টাইলে অপপ্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা থেকে যায়।’
এ সময় মন্ত্রী গণপরিবহন চালুর পর দুর্ঘটনা এড়াতে পরিবহন চালক, শ্রমিক ও পথচারীদের স্বাস্থবিধির পাশাপাশি ট্রাফিক আইন যথাযত ভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান। সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে গণপরিবহন মালিকদের সুনির্দিষ্টভাবে সিদ্ধান্ত নিতে একটি পরিকল্পনা তৈরি করার অনুরোধ জানান তিনি।
সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশেও সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে। এমন পরিস্থিতিতেও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লকডাউন শিথিল করেছে, কোথাও কোথাও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি দেশের তালিকায় থেকেও অর্থনীতির স্বার্থে লকডাউন শিথিল করেছে।’
‘জীবন ও জীবিকার মাঝে ভারসাম্য তৈরি, অর্থনীতির চাকা সচল রাখা, সামাজিক শৃঙ্খলা সুরক্ষার স্বার্থে সরকার এরইমধ্যে সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখানে অবশ্য পালনীয় কিছু তথ্য থাকছে, যেমন স্বাস্থবিধি মেনে চলা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা‘, যোগ করেন সেতুমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে জীবন-জীবিকার মাঝে সাযুজ্যবিধানের যে প্রয়াস চলছে তার থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন থাকতে পারি না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সার্বিক পরিস্থিতর পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাঁর সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে এর আগে আমরা অনেক সংকট থেকে উত্তরণ লাভ করেছি। ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে তাঁর দক্ষতার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। আপনারা মনোবল না হারিয়ে তাঁর প্রতি আস্থা রাখুন, সরকারকে সহযোগিতা করুন। সংকটকে সম্ভাবনায় রূপদানে আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।’