সরকারকে ভুল তথ্য দিয়ে ৭০০ একর বনভূমি ইজারা!
সরকারকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রশাসন একাডেমির নামে কক্সবাজারে সমুদ্র পাড়ের ৭০০ একর বনভূমি ইজারা নিয়েছেন আমলারা। স্থানীয় বাসিন্দা ও আগত কোটি পর্যটকের বিশুদ্ধ অক্সিজেনের একমাত্র উৎস এই বনভূমি। শত প্রজাতির বৃক্ষ, পাখি ও বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে কোনো স্থাপনা করতে দেওয়া হবে না।
আজ সোমবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন এসব কথা তুলে ধরেন।
কক্সবাজার সৈকত সংলগ্ন ৭০০ একর বনভূমি ইজারার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিতাদেশের পর করণীয় বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন, কক্সবাজারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। কক্সবাজার সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট পজিটিভ। কিন্তু স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তথ্য গোপন করে সংরক্ষিত বনভূমি ইজারা নেওয়া হয়েছে। যা ভবিষ্যতে প্রজন্মের কাছে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি বলেন, ৭০০ একর পাহাড় ইজারা বাতিল চেয়ে গত ১১ অক্টোবর আমরা উচ্চ আদালতে রিট করি। শুনানি শেষে বনভূমি বরাদ্দ তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান মিয়া ও মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লার অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চ। সেই সঙ্গে চারজন সচিবকে শোকজ করা হয়েছে। এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে লড়তে ৭০০ একর পাহাড় ইজারাগ্রহণরীরা আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কক্সবাজারের পরিবেশ প্রকৃতির স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে জানান আ ন ম হেলাল উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আনোয়ারুল হক, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মমতাজ উদ্দিন বাহারি, দৈনিক বাঁকখালীর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি রুহুল আমিন সিকদার, পরিবেশ সংগঠক সমীর পাল, সফিনা আজিম ও আবদুল মতিন আজাদ। এ সময় কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সদস্য মোরশেদুর রহমান খোকন, কামরুল হাসান, ইমাম খাইরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।