‘সম্পাদকের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সম্পর্ক নেই’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই। একটি ফৌজদারি অভিযোগে আদালত স্বাধীনভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে আদালত স্বাধীনভাবে বিচার করবেন।’
আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় উদ্বেগ জানিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ দেশের ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা নিয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু, তথ্য গোপন এবং ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃতদেহ দাফন। এটা কিন্তু একটা অপরাধ। আশা করি, ৪৭ জন নাগরিক এ বিষয়ে কিছু বলবেন। এই ৪৭ জন ছাড়াও দেশে হাজার হাজার নাগরিক ও বুদ্ধিজীবী আছেন।’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি আমলে নেওয়ার যোগ্য নয়। এর আগে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দিয়েছিল। এ ছাড়া ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিরা পাখির মতো মানুষ হত্যা করছে, সেটা নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কখনো বিবৃতি দেয় না, কিছু বলেও না। তাদের উদ্দেশ্য সবার জানা।’
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলামের আদালত প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরোয়ানা জারি হওয়া অপর আসামিরা হলেন আনিসুল হক, কবির বকুল, শুভাশিস প্রামাণিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার।
গত ৬ নভেম্বর আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন তার বাবা মো. মুজিবুর রহমান।
গত বছরের ১ নভেম্বর নিজ কলেজ ক্যাম্পাসে প্রথম আলোর মাসিক ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় নাইমুল আবরার রাহাত। সে নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ওই ঘটনায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠে।