‘সভাপতি’ ঘোষণা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদকের বক্তব্য
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু নির্বাচিত হওয়ার পর পরই গত ১৪ এপ্রিল মারা যান। তাঁর অবর্তমানে সভাপতির পদ পূরণে করণীয় ঠিক করতে গতকাল মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছিল কার্যনির্বাহী কমিটি। সেখানে একটি পক্ষ অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিনকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন।
কিন্তু সংগঠনের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল দাবি করেছেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, মঙ্গলবার কোনো ধরনের আলোচনা কিংবা সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি পদে কোনো নির্বাচন হয়নি। বিশেষ সাধারণ সভা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর আগেই পরিস্থিতির কারণে সেটি স্থগিত করা হয়েছে। কোনো ধরনের আলোচনা কিংবা সেখানে সভাপতি পদে কোনো নির্বাচন হয়নি। এ ছাড়া বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছিল সভাপতি পদ পূরণে করণীয় নির্ধারণের জন্য; নির্বাচনের জন্য নয়।’
আজ বুধবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে গতকাল ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন সংগঠনটির সম্পাদক।
রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘গতকালের ঘটনা প্রমাণ করে ভোটবিহীন ক্ষমতা দখলের যে চর্চা বর্তমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীনরা চালু করেছে ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হলো। যেটি সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী হিসেবে কখনই আমাদের কাম্য ছিল না।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের ১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি পদ পূরণের বিধান রয়েছে। সেই লক্ষ্যে পদ পূরণের জন্য করণীয় ঠিক করতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সমিতির অডিটোরিয়ামে বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করা হয়েছিল।
ওই সভায় সভাপতির অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সহসভাপতি জালাল উদ্দিন সভাপতিত্ব করবেন এটিই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু সমিতির অপর সহসভাপতি মুহাম্মদ শফিক উল্যা সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিজেকে বিশেষ সাধারণ সভার সভাপতি হিসেবে দাবি করেন। তখন উপস্থিত আইনজীবী সদস্যরা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব কে করবেন এই বিষয়টি সুরাহা করে সভা শুরু করার জন্য সম্পাদককে অনুরোধ জানান।
সভাপতিত্ব কে করবেন এ বিষয় নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে মতবিরোধ হওয়ার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সভার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। কোনো আলোচনা ও সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভার কাজ মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
এসব তথ্য জানিয়ে সম্পাদক বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, সভা মুলতবি করার পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদকসহ সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতির পদ পূরণ করার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে লক্ষ্য করলাম, কার্যকরী কমিটির সহসভাপতি মুহাম্মদ শফিক উল্যা পরবর্তীতে অতি উৎসাহী হয়ে সমিতির সভাপতির কক্ষে নিজেই সমিতির সদ্যসাবেক সভাপতিকে ২০২১-২২ সালের বাকি মেয়াদের জন্য সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন।