সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পাহারা দিতে হবে : তাবিথ
গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের প্রার্থী ইশরাক হোসেনের প্রচারণায় হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, ধানের শীষের জয় নিশ্চিত। এই ভয় থেকেই হামলাগুলো শুরু হয়েছে। কিন্তু ভয়কে জয় করতে হবে।
আজ রোববার দুপুরের পর আগারগাঁও এলাকার বিএনপি বাজার এলাকায় গণসংযোগ শুরু করার আগে তাবিথ আউয়াল এসব কথা বলেন।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ধানের শীষের বলেন, ‘ভয় পেয়ে আমরা পিছু হটব না। ভয়কে আমরা জয় করব, এ নির্বাচনকে জয় করব। ভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যাবে। সরকার এ রায় ঠেকাতে পারবে না। এর পরই আন্দোলন ত্বরান্বিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনব। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব, দেশকে মুক্তির পথে নিয়ে আসব।’
তাবিথ আউয়াল আরো বলেন, ‘ইশরাকের প্রচারে হামলা হয়েছে। এর আগে তাঁর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আমার গণসংযোগে হামলা হয়েছে। এসব হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় আনুন। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন।’
‘প্রচারের বাকি পাঁচ দিন এবং ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন, খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। দিনগুলোতে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। সব প্রকার ভয়-ভীতি, বাধা উপক্ষো করে সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। আর ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার আফতাব উদ্দিন জসীম, বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এ বি এম রাজ্জাক, যুবদল উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম মিল্টন, জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ইশরাকের প্রচারে হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তাবিথ বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে বারবার অনুরোধ করছি, আপনারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিন। আগামী ছয় দিন দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এবং ইসির সদিচ্ছা প্রমাণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন।’
নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। এ শহরের অবনতি হয়েছে। দূষণের জন্য কেউ বাঁচতে পারছে না। ভেজাল খাদ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শেষ করে দিচ্ছে। সড়কের বিল চলে যাচ্ছে, কিন্তু রাস্তা মেরামত হচ্ছে না। টাকা চলে যাচ্ছে, এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে না। এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ে যেতে হবে। জনগণের পাশে থাকতে হবে।