সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শাস্তি ২০ হাজার টাকা, আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহবধূর
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় সালিশ বৈঠক বসিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে ২০ হাজার টাকা জরিমানা নির্ধারণের ঘটনায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক গৃহবধূ। পরে তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনেরা। উপজেলার আন্ধারমানিক ইউনিয়নে গতকাল সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তিন মাস আগে উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই নারীর। স্বামী ঢাকায় থাকায় আন্ধারমানিক এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি। এরই মধ্যে ওই গৃহবধূর সঙ্গে বড়জালিয়া ইউনিয়নের বাবু নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত রোববার রাতে আন্ধারমানিক ইউনিয়নে বাবুর বন্ধু রাজীবের ঘরে ডেকে নেওয়া হয় ওই গৃহবধূকে। এরপর বাবু, রাজীব ও তাঁদের আরেক বন্ধু নাজমুল ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য পরম ভূঁইয়া গতকাল সকালে সালিশ বৈঠক বসিয়ে অভিযুক্তদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে গৃহবধূকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেন। এ সময় লজ্জায় বাড়িতে গিয়ে ওই গৃহবধূ বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি ওই গৃহবধূর। তাঁর অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ প্রথমদিকে ধর্ষণের বিষয়টি জানানো হয়নি।
হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত থাকা হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারেক হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’
মেহেন্দীগঞ্জের কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, কিন্তু এখনো পরিবারের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল হক বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। আমরা স্থানীয়ভাবে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।