শ্রমিক লীগনেতার ওপর হামলা, ভাইস চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
নওগাঁর আত্রাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা ঘটনায় করা মামলায় নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে আহত নেতা সোয়েবের স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা ঝর্ণা বাদী হয়ে আত্রাই থানায় একটি মামলা করেছেন।
জানা গেছে, এ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম এবং মূল হামলাকারী হিসেবে তার ছেলে মির্জা রাব্বীসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা করা হয়েছে।
পরে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারের আগে সরদার সোয়েবকে হামলার বিষয়ে মমতাজ বেগম বলেন, ‘রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ঠিকাদারির ৬৫ লাখ এবং ধার করা দুই লাখসহ মোট ৬৭ লাখ টাকা সোয়েবের কাছে পাব। আমি ও আমার ছেলে রাব্বী বহুবার অনুরোধ এবং দেন-দরবার করেও টাকা পাইনি।’
তবে এ ঘটনায় তিনি বা তাঁর ছেলে জড়িত কি না সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।
আত্রাই থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার নিউ মার্কেটে ঠিকাদারি অফিস কক্ষে আসেন শ্রমিক লীগ নেতা সোয়েব। এরপর হঠাৎ মির্জা রাব্বী দলবল নিয়ে এসে সরদার সোয়েবের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁকে গুরুতর আহত করে। পরে বাজারের লোকজন টের পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন এবং মোটামুটি সুস্থ আছেন তিনি।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আহত সোয়েবের স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা ঝর্ণা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার আসামি হিসেবে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।’
আত্রাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার সোয়েবকে হামলার পর থেকে আত্রাই উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।