শ্যামনগরে ৫৮ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা। উপজেলার মোট পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ৫৮ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ভেতরে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ঘরবাড়ি।
আজ রোববার সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এসএম মোস্তফা কামাল এই তথ্য জানান। তিনি জানান, শ্যামনগর উপজেলার মোট পাঁচটি ইউনিয়নে ৫৮ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, কৈখালী, রমজাননগর ও মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের ২৬ হাজার কাঁচা ও আধাপাকা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আরো ৩২ হাজার ঘরবাড়ি কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষ কম-বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এসব ইউনিয়নের মাছের ঘেরগুলো সব ভেসে গেছে।’
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, পানির তোড়ে দুর্গাবাটি, দাঁতিনাখালী ও চৌদ্দরশি বাঁধ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদীতে এ সময় ভাটা থাকলেও ঝড়ের তাণ্ডবে নদীর পানি বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ছুয়ে যায়। এ ছাড়া রাস্তায় গাছ পড়ে এসব স্থানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন গাছ অপসারণের কাজ চলছে। পুরো এলাকা বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
প্রবল শক্তি নিয়ে টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে তাণ্ডব চালায় বুলবুল। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে বুলবুলের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সুন্দরবন উপকূল। এতে বিধ্বস্ত হয়েছে সুন্দরবনের অনেক বৃক্ষ বলে জানিয়েছেন এসএম মোস্তফা কামাল।
এদিকে বুলবুলের আঘাতে সাতক্ষীরায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। তবে রোববার সকালে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার সময় গাবুরা ইউনিয়নের আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।