শিমুলিয়ায় পদ্মার ভাঙন, সীমিত পরিসরে চলছে ফেরি
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের ৩ নম্বর ফেরিঘাটসংলগ্ন ৯ একর জায়গা বিলীন হয়ে গেছে পদ্মার গর্ভে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত রো রো ফেরিঘাটসংলগ্ন এলাকাজুড়ে বড় আকারে ভাঙনের মুখে পড়ে শিমুলিয়া ঘাট। এদিকে নিরাপত্তা ও ঝুঁকি এড়াতে ৩ নম্বর ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, সকাল ৬টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে তিনটি ফেরি যানবাহন নিয়ে কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশে রওনা হয়। পরে নাব্য সংকটের কারণে শিমুলিয়ায় ফিরে আসে। পুনরায় আবার সকাল ১০টার দিকে কে টাইপ ফেরিগুলো কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এর আগে জুলাই মাসে দুই দফার ভাঙনে ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট ভেঙে যায়। এবার নতুন ভাঙনে একটি হোটেল, পাবলিট টয়লেট, টিএর বিশ্রামাগার এবং পাশে থাকা ১০টি বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। বিআইডব্লিউটিএ জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর প্রকৌশলী হারিছ পাটোয়ারী বলেন, এবারের ভাঙনে ঝুঁকির মধ্যে আছে রো রো ফেরিঘাট। এদিকে চ্যানেলের মুখের নাব্য সংকট কাটিয়ে সকাল সোয়া ৯টা থেকে সীমিত পরিসরে পাঁচটি কে টাইপ ও মাঝারি আকারের ফেরি দিয়ে ঘাট চালু হয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় দুই ঘাটে আছে তিন শতাধিক গাড়ি।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে নাব্য সংকট আর নেই। এই রুটে সব ধরনের ফেরি চলাচল করতে পারবে।
বিআইডব্লিউটিসির উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, নাব্য সংকটের কারণে সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুনরায় সকাল ১০টার দিকে কে টাইপ ফেরি দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এদিকে ঘাট এলাকায় শতাধিক যানবাহন রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায়।