শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় মাঝনদীতে নোঙর করা আছে বেশ কয়েকটি ফেরি। ঘাট এলাকায় নদী পারাপারের অপেক্ষায় আটকে আছে ছোট-বড় প্রায় ৭০০ যানবাহন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপসহকারী ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল জানান, ঘন কুয়াশার কারণে দিকনির্দেশক সিগন্যাল বাতি, মার্কিং পয়েন্ট অস্পষ্ট হয়ে আসে। চালকরা নদীর মাঝপথে ফেরি নোঙর করে রাখতে বাধ্য হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে ভোর ৪টা থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। পরে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল দিবাগত রাত ২টা থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পর্যন্ত নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিসি।
চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরি পারের অপেক্ষায় উভয় পারের ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের চার শতাধিক যানবাহন। পাটুরিয়া ঘাটেই আছে ট্রাকসহ দুই শতাধিক যানবাহন। আর সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উভয়পাড়ের ঘাট এলাকায় ফেরি পারাপারের জন্য আসা যানবাহনের সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এতে যাত্রীসহ যানবাহন শ্রমিকরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জিল্লুর রহমান জানান, সন্ধ্যা থেকে পদ্মা অববাহিকায় কুয়াশা পড়তে থাকে। পরে রাত ২টার দিকে নৌপথ কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ কারণেই দুর্ঘটনা এড়াতে নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে মাঝনদীতে যাত্রী ও ছোট-বড় যানবাহন নিয়ে আটকা পড়ে পাঁচটি ফেরি। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চালু করা হবে।