শিক্ষকের কলেজ পড়ুয়া ছেলের গাড়ির ধাক্কায় রাবি শিক্ষার্থী আহত!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কলেজ পড়ুয়া ছেলের প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোছা. আয়েশা খাতুন নামে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন৷ গতকাল সোমবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর পশ্চিম বুধপাড়া এলাকার চৌরাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে৷ প্রাইভেটকারের ধাক্কায় রিকশাচালকের পা ভেঙে যায় এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাত লাগে৷ রাবি শিক্ষার্থী ও রিকশাচালক বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আহত ছাত্রীর চিকিৎসার দেখভাল করছি। প্রাইভেটকারের মালিক রিকশাচালকের চিকিৎসার দেখভাল করছেন।’
আহত মোছা. আয়েশা খাতুন তাঁর পরিবারের সঙ্গে রাজশাহী নগরীর বুধপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। তাঁর বাবার নাম মো. আনোয়ার ইসলাম। আর আহত রিকশা চালকের নাম মো. সিটু মোল্লা। তিনি রাজশাহীর চারঘাট এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে প্রাইভেটকারের চালক মো. নিয়াসির (১৭) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক খায়রুল ইসলামের ছেলে৷ উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করে সে।
প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৭ বছর বয়সি মো. নিয়াসির প্রাইভেটকার চালাচ্ছিল। এ সময় আহত আয়েশা খাতুন ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে তাঁর বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। রিকশা রাস্তা পার হওয়ার সময় প্রাইভেটকার রিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন রিকশাচালক ও যাত্রী আয়েশা খাতুন। তাদের দুজনেরই পা ভেঙে গেছে এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. খায়রুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ‘প্রাইভেটকার এবং রিকশাটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করেনি।’