শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শায়িত মিজানুর রহমান খান
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বাদ জোহর রাজধানীর মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
সকাল ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে, বেলা ১১টার দিকে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে এরপর জাতীয় প্রেস ক্লাবে মিজানুর রহমান খানের তিনটি জানাজা হয়। জানাজা শেষে তাঁর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রেসক্লাবের জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় দীর্ঘদিনের কর্মস্থল দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে। সহকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় মিজানুর রহমান খানকে।
মিজানুর রহমান খান গত বছরের ২৭ নভেম্বর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। ৫ ডিসেম্বর তিনি ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। সমস্যা বাড়লে সেখান থেকে গত ১০ ডিসেম্বর তাঁকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার বিকেলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন মিজানুর রহমান খান।
মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে প্রথম আলো পরিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে। এ ছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তাঁর পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানান।
বরিশালের বিএম কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী মিজানুর রহমান খান তিন দশক ধরে সাংবাদিকতা করেছেন। সংবিধান ও আইন নিয়ে লেখালেখি করেন। উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক’, ‘১৯৭১ : আমেরিকার গোপন দলিল’ ইত্যাদি।