শরীয়তপুরে পিপি হত্যা মামলার রায়ের প্রতিবাদে আধাবেলা হরতাল পালিত
শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও তাঁর ভাই মনির হোসেনকে হত্যা মামলার রায়ের প্রতিবাদে আধাবেলা হরতাল পালিত হয়েছে।
আজ সোমবার শরীয়তপুর শহরে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল পালন করা হয়।
হরতাল চলাকালে খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া শহরের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ সময় ঢাকা-শরীয়তপুর ও খুলনা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে দূরপাল্লার যাত্রীদের হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়েছে।
এ বিষয়ে নিহত হাবিবুর রহমানের ছেলে ও শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন বলেন, ‘আমার বাবা ও চাচাকে দিনের বেলায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রকৃত খুনিদের আড়াল করে ২০ বছর পর এই হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। আমরা আদালতের এমন রায় মানি না। আমার বাবা ও চাচাকে যারা ভালোবাসত তারাই আজ হরতাল ডেকেছে। তারা বিচারকের অপসারণ এবং রায় পুনর্বিবেচনার দাবিও তুলেছে।’
২০০১ সালের ৫ অক্টোবর শরীয়তপুরের সাবেক পিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও তাঁর ভাই যুবলীগনেতা মনির হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত হাবিব বাদী হয়ে তৎকালীন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গসহ ৫৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত করে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলার প্রধান আসামি কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ ও শাহজাহান মাঝি মৃত্যুবরণ করেন। মামলার ২৮ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ ২০ বছর পর গতকাল রোববার রায় দেওয়া হয়। রায়ে ছয়জনকে ফাঁসি, চারজনকে যাবজ্জীবন, তিনজনকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস দেন শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন।