শরবতে বিষ মিশিয়ে ছেলেকে হত্যা, গ্রেপ্তার সৎমা
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় সৎমায়ের বিরুদ্ধে আট বছরের এক শিশুকে বিষ পান করিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের রমজান মোল্যারডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত সৎমা স্বপ্না বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত শিশুটির নাম তানিম (৮)। সে ওই এলাকার ইব্রাহীম মোল্যা ওরফে রেজাউলের ছেলে।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ইব্রাহীম মোল্যা ওরফে রেজাউল বাদী হয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি হত্যামামলা করেছেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে শরবতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ছেলে তানিমকে পান করায় সৎমা স্বপ্না বেগম। এরপরই তানিম অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটির দাদা আক্কাছ মোল্যা তাকে প্রথমে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক।
বাড়িতে আসার পর শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা শিশু হাসপাতালে এবং সেখান থেকে আবার তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তানিমের।
খবর পেয়ে পুলিশ শিশু তানিমের লাশ উদ্ধার করে আজ শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় ইব্রাহীম মোল্যার। কিন্তু প্রথম পক্ষের সন্তান তানিমকে তার কাছে রেখে দেন বাবা। এর কিছুদিন পরে একই উপজেলার স্বপ্না বেগমকে বিয়ে করেন ইব্রাহীম। স্বপ্নার গর্ভেও এক কন্যাশিশুর জন্ম হয়।
তানিমের বাবা ইব্রাহিম জানান, বিয়ের পর থেকেই প্রথম পক্ষের ছেলে তানিমকে সহ্য করতে পারতেন না স্বপ্না। এর মধ্যে সবার অজান্তে গত মঙ্গলবার দুপুরের পর শিশুটিকে শরবতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পান করান সৎমা স্বপ্না বেগম।
খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সদরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্ত সৎমা স্বপ্না বেগমকে আটক করা হয়েছে।’