দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমে ক্রমে বাড়তে থাকে করোনারাগীর সংখ্যা। একপর্যায়ে সরকার করোনাভাইরাস রোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেইসঙ্গে মার্কেট-শপিংমল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত ১০ মে থেকে সরকার শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও ক্রেতা সংকটে ভুগতে থাকে রাজধানীর শপিংমলগুলো। তবে ভয়-আতঙ্ক থেকে বের হয়ে আসছে ক্রেতারা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ধীরে ধীরে মার্কেটগুলোতে জনসমাগমও বাড়ছে।

আজ শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়। অনেকে ঈদের জন্যও কেনাকাটা করছেন। গত ঈদুল ফিতরের সময় হয়তো প্রিয়জনকে কিছু দিতে পারেননি তাই এবার প্রিয়জনের জন্য কাপড় কিনেছেন।

রাজধানীর নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী মুনজুর আলম বলেন,‘রোজার ঈদের সময় দোকানপাট খুললেও তেমন ক্রেতা হয়নি। কিন্তু এখন ক্রেতা দিন দিন বাড়ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজ সরকারি বন্ধের কারণে ক্রেতা এসেছে। রোজার ঈদের সময় যে মাল তুলেছিলাম তাই বিক্রি করছি। তবে এখন বিক্রি ভালোই হচ্ছে।’

সুমি নামের এক ক্রেতা এনটিভি অনলাইনকে বলেন,‘করোনার কারণে আর কয়দিন বাসায় থাকা যায়? তাই এখন স্বাস্থ্য বিধি মেনে বের হয়েছি। রোজার ঈদের সময় করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেশি থাকায় বাহির হওয়া হয়নি। তাই এখন বের হয়েছি, পরিবারের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে চাই।’

রাজধানীর অন্যতম প্রধান বিপনিবিতান বসুন্ধরা সিটিতেও জনসমাগম বেড়েছে। আজ বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, অনেকে পরিবার নিয়েও এসেছেন কেনাকাটা করতে। সবার মুখেই অবশ্য মাক্স রয়েছে।

সেখানকার শাড়ি ব্যবসায়ী রোকন বলেন,‘মার্কেট খুললেও শাড়ি ব্যবসা বেশি ভালো না।’ তিনি বলেন,‘করোনার কারণে এখন সামাজিক অনুষ্ঠান,বিবাহ হচ্ছে না। সে কারণে শাড়ির ব্যবসা খারাপ। এভাবে চলতে থাকলে সামনে দোকানই ছেড়ে দিতে হবে, অন্য ব্যবসায় নামতে হবে।’