ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাল ধরতে চান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে। বাবা শেখ মণি ও মা শামছুন্নেছা আরজু মণিকে হারিয়েছেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালোরাতে। ওই রাতেই সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে লড়াই করবেন তাপস। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই ভোট হবে। এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। প্রতীকের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রার্থীরা।

পেশায় তাপস একজন আইনজীবী। তাঁর দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, তাঁর মোট বার্ষিক আয় নয় কোটি ৮১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬ টাকা। হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১০৮ কোটি ৯০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯৩ টাকা। এ ছাড়া তাঁর কাছে আছে নগদ তিন হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার। তাঁর স্ত্রীর কাছে আছে আট হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার।   

মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে তিনি উচ্চশিক্ষিত এবং তাঁর নামে বর্তমানে কোনো মামলা নেই। প্রার্থীদের অধিকাংশই ব্যবসায়ী হলেও তিনি পেশায় আইনজীবী।

হলফনামায় শেখ তাপস শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ্য করেছেন এলএলবি অনার্স ও ব্যারিস্টার এট-ল। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

হলফনামায় তাপস জানিয়েছেন, আইন পেশায় তাঁর বার্ষিক আয় এক কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চাকরির মাধ্যমে তাঁর বার্ষিক আয় ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ ছাড়া কৃষিখাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৩৫ হাজার টাকা, শেয়ার-সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৪৮ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৪২ লাখ ৫০ হাজার ৩৯৮ টাকা।

হলফনামায় বলা হয়, শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে নগদ টাকা আছে ২৬ কোটি তিন লাখ তিন হাজার ৫৫৭ টাকা। তাঁর স্ত্রীর কাছে আছে নগদ ৯৭ লাখ ২০৬ টাকা। তাপসের কাছে আছে নগদ তিন হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার; স্ত্রীর কাছে আছে আট হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার।

ব্যাংকে তাপসের নামে আছে এক কোটি ৫৩ লাখ ৭৭ হাজার ২০৭ টাকা; স্ত্রীর নামে আছে দুই কোটি ৫৭ লাখ ৩১ হাজার ২৩৫ টাকা।  

বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ার বাবদ তাপসের আছে ৪৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৪ টাকা। এ বাবদ তাঁর স্ত্রীর আছে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

শেখ তাপসের নিজের গাড়ি আছে তিনটি; এ ছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামে আছে একটি গাড়ি। শেখ তাপসের নামে আছে ৩২ তোলা স্বর্ণ এবং তাঁর স্ত্রীর নামে আছে ১৮৮ ভরি স্বর্ণ।

২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন শেখ ফজলে নূর তাপস। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ঢাকা-১০ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনেও তিনি জয়ী হন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নিতে এরইমধ্যে সংসদ সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।