লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা : ‘দেশি মানবপাচার চক্রও জড়িত‘
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনে করেন, ইউরোপে পাঠানোর নাম করে স্থানীয় দালাল ও মানবপাচার চক্র লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত।
সেজন্য এদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে বলে পররাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম।
আজ শনিবার নাছিমা বেগম বলেন, ‘লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিককে গুলি করে হত্যার ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। জরুরি ভিত্তিতে ঘটনার তথ্যনুসন্ধান করা অবাশ্যক। গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে লিবিয়ায় কর্মী পাঠানো বন্ধ থাকার পরেও কী করে এত মানুষ বাংলাদেশ থেকে লিবিয়ায় যাচ্ছে, সেই বিষয়টিও তদন্ত করা উচিত।’
কমিশনের চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘এই ঘটনায় শুধু সেখানকার লোক জড়িত নয়, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি স্থানীয় দালাল ও মানবপাচার চক্রও। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি এই ঘটনায় যারা বেঁচে আছেন তাঁদের সুচিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতি আহ্বান জানায় কমিশন।’
নাছিমা বেগম বলেন, ‘পররাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়ে আমরা বলেছি, কমিশন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের ক্ষতিপূরণের জন্য লিবিয়ার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
এর আগে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মানবপাচারকারী চক্রের পরিবারের সদস্য কর্তৃক লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসী শ্রমিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে৷ ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং এর তথ্যানুসন্ধান হওয়া আবশ্যক।