লালদীঘিতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে চট্টগ্রামের লালদীঘিতে হত্যাচেষ্টা ও গণহত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কোতোয়ালি থানার তৎকালীন উপকমিশনার পলাতক গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল, পুলিশ সদস্য প্রদীপ বড়ুয়া, মো. আবদুল্লাহ, মমতাজ উদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি এলাকায় আওয়ামী লীগের জনসভায় যাওয়ার পথে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পথচারীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক লোক।
তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাসহ আটজনকে আসামি করে ১৯৯২ সালে মামলাটি করেন আইনজীবী শহীদুল হুদা। ১৯৯৬ সালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির কাদের খান তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ মামলায় ৩২ বছরে ৫৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্কের প্রথম দিন গতকাল রোববার উপস্থিত চার আসামি পুলিশের তৎকালীন সদস্য প্রদীপ বড়ুয়া, মো. আবদুল্লাহ, মমতাজ উদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আট আসামির মধ্যে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদা, বশির উদ্দিন ও আবদুস সালাম মারা যান। কোতোয়ালি থানার তৎকালীন উপকমিশনার গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল পলাতক আছেন।