লবণ মজুত করে ধরা খেলেন মুরগি ব্যবসায়ী
গাজীপুরে গুজব ছড়িয়ে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক মুনাফা করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন মুরগি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৩০)। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে অর্থদণ্ড করেছেন। এ ছাড়াও পৃথক ঘটনায় ১১ ব্যবসায়ীকে লক্ষাধিক টাকা অর্থদণ্ড করেছেন পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীনুর ইসলাম জানান, বিভিন্ন এলাকায় গুজব ছড়িয়ে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি মূল্যে বিক্রি করছিল একটি চক্র। এ সংবাদ পেয়ে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী কুদ্দুসনগর জরুন দশতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বাজারে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগে কৃষি বিপণন আইনে নজরুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম মূলত মুরগি ব্যবসায়ী। তিনি অধিক মুনাফা লাভের আশায় ৪৫ বস্তা লবণ তাঁর মুরগি বিক্রির দোকানে মজুত করে রাখেন।
এ ছাড়াও একইদিন সন্ধ্যায় পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পৃথক অভিযান চালিয়ে বাজারে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক মূল্যে বিক্রির অভিযোগে কাপাসিয়া উপজেলার নয়জন ব্যবসায়ীকে ৯০ হাজার টাকা ও কালীগঞ্জের দুই ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। একই অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে কাপাসিয়ার টোক বাজার থেকে দুই ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ‘লবণের দাম স্বাভাবিক রয়েছে’ সংক্রান্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্ক করা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে।