রোহিঙ্গাদের নিয়ে ওআইসির ভূমিকা হতাশাজনক : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনরোধ ও তাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসনে ওআইসির ভূমিকা হতাশাব্যাঞ্জক। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকলে মিয়ানমার থেকে মুসলিমদের নির্যাতন করে কেউ বের করে দিতে পারত না। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যে নির্যাতন হয়, তা হতো না।
তথ্যমন্ত্রী আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। আশেকানে গাউছিয়া রহমানিয়া মইনিয়া সহিদীয়া মাইজভান্ডারীয়া এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সৈয়দ সহিদ উদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অকথ্য নির্যাতন হচ্ছিল, তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল, তখন ওআইসি কোনো সম্মেলনও আহ্বান করতে পারছিলো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সেটি পরে অনুষ্ঠিত হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই উপমহাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের মধ্য দিয়ে নয়, তরবারির মধ্যে নয়, পীর-আউলিয়াদের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের হাত ধরেই এই উপমহাদেশের মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় বলা হয়, ‘ইসলামী জঙ্গি’। কিন্তু ইসলাম জঙ্গিবাদের কথা বলে না। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বসভায় এর প্রতিবাদ করেছেন। দয়া করে ইসলামী জঙ্গি বলবেন না। কারণ ইসলাম জঙ্গিবাদের কথা বলে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে পৃথিবীর সামনে উদাহরণ। এদেশে ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির করার চেষ্টা করে। ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির মাধ্যমে মৌলবাদ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। এগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে যাতে করে কেউ বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে। সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।