রূপপুরে বালিশ কেনায় দুর্নীতি, ১৩ প্রকৌশলী কারাগারে
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বালিশ কেনায় দুর্নীতির তিনটি মামলায় পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ১৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ জুলফিকার সাংবাদিকদের বলেন, আজ আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তাঁদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজ দুপুরেই রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল কবির, মো. শফিকুল ইসলাম, সুমন কুমার নন্দী, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, মো. রওশন আলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, আহমেদ সাজ্জাদ খান, মোহাম্মদ তাহাজ্জুদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক খান, মো. আমিনুল ইসলাম, ঠিকাদার আসিফ হোসেন ও শাহাদাত হোসেন।
এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে চারটি মামলা দায়ের করে দুদক। চার মামলায় মোট ৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।