রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা অনুমোদন
বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-আয়ের উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) আজ মঙ্গলবার দেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) অনুমোদন করেছে।
এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন করা হয়।
‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১)’ অনুযায়ী, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ, যার মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে বর্তমান বাজার মূল্যে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে দশমিক ৬৮ শতাংশে এবং দারিদ্র্য হার হবে ৩ শতাংশের নিচে।
এর প্রক্ষেপণে আরো বলা হয়েছে, ২০৩১ সাল নাগাদ জিডিপির প্রবৃদ্ধি বেড়ে হবে ৯ শতাংশ, দারিদ্র্য হার ২০২০ সালের (ভিত্তি বছর) ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ থেকে কমে ৭ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্য ২০২০ সালের ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হবে।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দারিদ্র্য দূর, সুশাসন আরো সুসংহত করা এবং বাংলাদেশকে আধুনিক ও বিশ্বমানের ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ ঐতিহাসিক ডকুমেন্টটি প্রণয়ন ও অনুমোদন করা হয়েছে।’
মন্ত্রী আরো জানান, চার প্রাতিষ্ঠানিক স্তম্ভ- সুশাসন, গণতন্ত্রায়ণ, বিকেন্দ্রীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে আগামী ২০ বছরের জন্য পরিকল্পনাটির নকশা করা হয়েছে।
এম এ মান্নান বলেন, এনইসি প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি অনুমোদন করলেও মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো এতে আগামী এক মাসের মধ্যে আরো কিছু সংযোজন করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রেক্ষিত পরিকল্পনার আরো লক্ষ্য হলো শিল্পায়ন ও এর অবকাঠামোগত রূপান্তর নিশ্চিত করা এবং কৃষি খাতে অনুকরণীয় পরিবর্তন আনা ও রপ্তানিমুখী অর্থনীতি গড়ে তোলা।