রিজেন্ট গ্রুপের এমডি গ্রেপ্তার
আলোচিত রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সন্ধ্যায় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যাম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘মাসুদ পারভেজ রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের অন্যতম সহযোগী। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করে রিপোর্ট দেওয়াসহ নানা অভিযোগে ১৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার দ্বিতীয় আসামি তিনি।’
যেকোনো সময়, যেকোনো মুহূর্তে সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে সারা দেশের পাশাপাশি সীমান্তেও নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বলেও জানায় র্যাব, যাতে কোনোভাবেই সাহেদ দেশ ত্যাগ না করতে পারে।
এর আগে এই ঘটনায় রিজেন্ট গ্রুপের মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাহেদকেও খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরে আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি বিষয় স্পষ্ট করে সবাইকে জানাতে চাই, সাহেদের পাসপোর্ট আমাদের কাছে। আমরা জব্দ করেছি। সে যদি দেশ ত্যাগ করতে চায়, তাহলে সেটা তার জন্য অবৈধ পন্থা হবে। সে যাতে কোনোভাবেই দেশত্যাগ না করতে পারে, সেজন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। সাহেদকেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত ৬ জুলাই বিকেল থেকে রাত অবধি উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালটির মূল কার্যালয়ে প্রথমে অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে অভিযান শেষে হাসপাতালটির মিরপুর শাখায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাসপাতালটির আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়।
এরপর ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের কোভিড ডেডিকেটেড রিজেন্ট হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয় র্যাব-১। এ ছাড়া উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয়ও সিলগালা করা হয়। ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়।
রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাড়ে চার হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে চার হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। মনগড়া রিপোর্ট পজিটিভ-নেগেটিভ দিয়েছেন।
তা ছাড়া মোট ১০ হাজার রোগীর করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রিজেন্ট হাসপাতাল। মাত্র চার হাজার ২৬৪টি নমুনা সরকারিভাবে টেস্ট করে রিপোর্ট দেয়। এ ক্ষেত্রে ভয়াবহ প্রতারণার কৌশল গ্রহণ করে রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারো জ্বর থাকলে তাকে পজিটিভ আর জ্বর না থাকলে নেগেটিভ রিপোর্ট প্রদান করে।