যৌতুকের অভিযোগে এএসপির বিরুদ্ধে মামলা
যৌতুকের দাবিতে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের মামলা দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী। মামলার পরে তদন্ত প্রতিবেদনের দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস মিয়া এই নির্দেশ দেন।
রমনা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (নারী ও শিশু) শরীফ আহম্মেদ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ৭ জুলাই বিচারক মামলার এজাহার ও প্রাথমিক তথ্য বিবরণী দেখে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
শরীফ আহম্মেদ বলেন, রমনা থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এএসপি নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী ইশরাত রহমান।
মামলায় শ্বশুর সফিউল্লাহ তালুকদার, শাশুড়ি খালেদা সুলতানাকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামি এএসপি নাজমুস সাকিব র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরে কর্মরত আছেন।
এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের মার্চে নাজমুস সাকিবের সঙ্গে ইশরাত রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর মো. সফিউল্লাহ তালুকদার ও শাশুড়ি খালেদা সুলতানা তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন।
মামলায় আরো বলা হয়, আসামিরা বিভিন্ন সময় ইশরাতকে তাঁর বাবার কাছ থেকে নগদ টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দিলে সব আসামি মিলে তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ভয়ে তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে প্রায়ই নগদ টাকা এনে আসামিদের দিতেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আসামিরা ইশরাতের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন। ওই সময় ইশরাত গর্ভবতী হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে ইশরাতকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। ইশরাত রাজি না হলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইশরাতের স্বামী নাজমুস সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করান।