যুবলীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
রাঙামাটিতে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা নাসির হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মীর শাকিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার মীর শাকিল ২৭ জানুয়ারি যুবলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি।
শাকিলকে বিকেলেই রাঙামাটি জেলা জজ আদালতে হাজির করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরার জন্যও অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান এসআই।
রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন টিপু বলেন, ‘মীর শাকিল জেলা ছাত্রলীগের সদস্য এটা ঠিক। তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ কয়েকজন গুরুত্ব্পূর্ণ নেতা ঢাকায় আছেন। তাঁরা ফিরে এলে মীর শাকিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গত ২৭ জানুয়ারি রাঙামাটি শহরের প্রত্যাশা ক্লাবে ডেকে নিয়ে যুবলীগ নেতা নাসিরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে কয়েকজন ছাত্রলীগ ও যুবলীগকর্মী। পায়ের রগ কেটে যাওয়া নাসিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় হামলাকারীরাই রাঙামাটি সদর হাসপাতালের সামনে ফেলে যান। এখন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন নাসির।
হামলার ঘটনার তিন দিন পর নানান টালাবাহানা শেষে ৩০ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় নাসিরের স্ত্রী সালেহা আক্তার এই হত্যাচেষ্টা মামলা করতে সক্ষম হন। এই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনসহ আট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আসামি করেন তিনি।
আসামিরা হলেন জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ইকবাল হোসেন,৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব খান, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মীর শাকিল এবং মো. আজমীর। মামলার পর ১২ দিনেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ৯ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে আহত নাসিরের মা, স্ত্রী, সন্তান ও ভাইবোনসহ পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা। হামলার ঘটনার ১৩ দিন পর আজ সোমবার এ মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হল।