ময়ূর ২-এর ইঞ্জিনচালকসহ দুজন রিমান্ডে
বুড়িগঙ্গায় ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চডুবির ঘটনায় ‘ময়ূর-২’ লঞ্চের ইঞ্জিনচালক শাকিল ও শিপনকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাইরুজ তাসনীম এই আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌথানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম তাঁদের হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ডে নেওয়ার এই আদেশ দেন।
এর আগে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সদরঘাট নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদা পারভীন জানিয়েছেন, গতকাল এমভি ময়ূর ২-এর মাস্টার আবুল বাশার মোল্লাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। এর আগে একই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ ও সুপারভাইজার আব্দুস সালাম তিন দিনের রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
গত ২৯ জুন রাজধানীর সদরঘাটের কাছে শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে এম ভি ময়ূর ২-এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল মর্নিং বার্ড পানিতে ডুবে যায়। মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা লঞ্চটিতে শতাধিক যাত্রী ছিল। এ ঘটনায় ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার দিন রাতেই নৌপুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল আলম বাদী হয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এমভি ময়ূর ২-এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা ও জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন, সুকানি নাসির মৃধা ও মো. হৃদয়।
লঞ্চডুবির এ ঘটনা তদন্ত করে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের সময় দিয়ে ওইদিন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এরপর গত ৭ জুলাই সচিবালয়ে এ তদন্ত প্রতিবেদন সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দীন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ময়ূর-২ লঞ্চটি মর্নিং বার্ড লঞ্চকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে। তাই মর্নিং বার্ড লঞ্চডুবির জন্য দায়ী চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা ময়ূর-২ লঞ্চ।